ফুলের বিজ্ঞান | Flower Science Explained (Q71–Q75)

ভাষা পরিবর্তন করুন

71. ফুল কিভাবে গন্ধ তৈরি করে?

ফুলের গন্ধ উৎপন্ন হয় তার বিশেষ কোষে থাকা 'অ্যারোমেটিক কম্পাউন্ড' নামক রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে। এগুলো মূলত 'ভোলাটাইল অয়েল' বা 'সুগন্ধী তেল' যা বাতাসে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে এবং গন্ধ সৃষ্টি করে। এটি পতঙ্গ আকর্ষণ করতে সাহায্য করে যাতে পরাগায়ন হয়। প্রতিটি ফুলের গন্ধ আলাদা হয় এর রাসায়নিক উপাদানের তারতম্যের কারণে।

72. ফুলের প্রজনন প্রক্রিয়া কীভাবে কাজ করে?

ফুলের প্রজনন হয় মূলত পরাগায়নের মাধ্যমে। পুরুষ অঙ্গ (বৃশ্চিক বা stamen) থেকে উৎপন্ন পরাগ রেণু স্ত্রী অঙ্গ (গর্ভকোষ বা pistil)-এ পৌঁছায়। এটি পতঙ্গ, বাতাস বা পানির মাধ্যমে হতে পারে। পরাগ গর্ভে পৌঁছালে নিষেক ঘটে এবং বীজ তৈরি হয়। এভাবেই নতুন গাছ জন্মাতে সক্ষম হয়।

73. ফুলে কীভাবে রঙ সৃষ্টি হয়?

ফুলে রঙ সৃষ্টি হয় প্রধানত তিন ধরনের রঞ্জক উপাদান দ্বারা—অ্যান্থোসায়ানিন (বেগুনি, নীল), ক্যারোটিনয়েড (হলুদ, কমলা, লাল) এবং ক্লোরোফিল (সবুজ)। এই উপাদানগুলো সূর্যের আলো শোষণ ও প্রতিফলনের মাধ্যমে বিভিন্ন রঙ দেখায়। পরিবেশ, মাটি ও তাপমাত্রার তারতম্যে রঙ পরিবর্তনও হতে পারে।

74. ফুলগাছে কীভাবে ফুল ফোটার সংকেত পায়?

ফুলগাছ তার আশপাশের পরিবেশ থেকে বিভিন্ন সংকেত পায়—যেমন আলো, তাপমাত্রা ও দিনের দৈর্ঘ্য। এই তথ্য গাছের হরমোন যেমন ফ্লোরিজেনের মাধ্যমে গাছের কোষে পৌঁছে যায়। এই হরমোন ফুল ফোটার জন্য প্রয়োজনীয় জিনগুলো সক্রিয় করে তোলে। একে বলে 'ফোটোপিরিয়ডিজম'।

75. ফুলের অঙ্গগুলো কী কী?

ফুলের প্রধান চারটি অঙ্গ হলো:
১. দল (Petals): রঙিন অংশ যা পতঙ্গ আকর্ষণ করে।
২. বৃতি (Sepals): কুঁড়ি থাকা অবস্থায় ফুলকে রক্ষা করে।
৩. পুংকেশর (Stamens): পুরুষ অঙ্গ যা পরাগ রেণু তৈরি করে।
৪. গর্ভকেশর (Carpel/Pistil): স্ত্রী অঙ্গ যেখানে বীজ তৈরি হয়।
এই অঙ্গগুলো মিলেই ফুলকে সম্পূর্ণ ও কার্যকরী করে তোলে।

আগের অংশ পড়ুন: ফুল প্রশ্নোত্তর ৬৬–৭০

← আগের পেজ পরের পেজ →

এই পোস্টটি শেয়ার করুন